"পেনাল্টিতে আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে কয়েকটা বছর? তোমাকে জড়িয়ে, জাপটে বেঁচে থাকার কয়েকটা বছর... যদি না পারো, তবে লক্ষ্মীটি, এখন যেমনভাবে আছো, থেকে যাও। আমার শেষ অবধি, নয়তো তোমার শেষ অবধি। আর আমাকে ছেড়ে যেয়ো না।"- তীর্থঙ্করের কথাগুলো একভাবে কানে বেজে চলেছে অনন্যার। শেষের যে আর বেশী দেরী নেই সেটা কী করে জানাবে ওকে? রিপোর্টগুলোর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রয়েছে সেই থেকে। অনেক বসন্ত পর যে ভালোবাসাকে ফিরে পেয়েছিল, ভেবেছিল আগামী একশোটা বসন্ত কাটাবে একসাথে, তাকে এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে যেতে হবে? কাঁপা হাতে তীর্থঙ্করের নম্বরটা ডায়াল করে শ্বাস বন্ধ করে বসে রইল... রিং হয়ে হয়ে কেটে গেল। ভালোই হল হয়তো... কিছুটা আরও সময় তো পেল! তীর্থঙ্করকে কথাগুলো কীভাবে বলবে মনে মনে তা রিহার্স করার আরেকটু সময় পেল। ভালোই হল। এরপর তীর্থঙ্করের ফোন আসার পর ওকে যখন সবটা বলতে গেছে, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্টোদিকের মানুষটার ব্যস্ততা- " আজ আমি ভীষণ ব্যস্ত অনু। কাল ফোন করে তোমার কথাগুলো শুনি?" এরপর কাল গড়িয়েছে পরশুতে... পরশু গড়িয়ে গেছে আগামী আরও অনেকগুলো দিনে... কিছুই বলা হয়ে ওঠেনি। কিছুদিন আগের উচ্ছ্বাস দেখানো মানুষটার সাথে আজকের ব্যস্ততা দেখানো মানুষটার কী ভীষণ অমিল!
পাঁচ বছরের অসুখী দাম্পত্যে হাঁপিয়ে উঠে আশ্রয় খুঁজেছিল যার কাছে, প্রাথমিকভাবে সে আশ্রয় দিলেও আশ্রয়টা কেড়ে নিতেও দেরী করেনি খুব বেশী। এই পৃথিবীতে সম্পর্কের সমীকরণগুলো কী ভীষণ জটিল! আজ যে আপন কাল সেই পর। ভীষণ পর। সময়মতো অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারায় যে ভালোবাসা হারিয়ে গেছিল, অনুভূতির প্রকাশে তা একদিন ফিরে এল। পরে অনুভূতির অতি প্রকাশে আবার হারিয়ে গেল। রিপোর্টগুলো এক লহমায় কত কিছু বদলে দিল। মনের সমস্ত ভারটুকু যার ওপর চাপাতে চাইল, তার অন্তহীন ব্যস্ততা ভারটাকে অনেক অনেক গুণ বাড়িয়ে দিল। আজকাল প্রায়ই দমটা কেমন যেন আটকে আসে। মনে হয়, মরার আগেই বুঝি মরণ এসে ছুঁয়ে দিয়ে গেল। শেষের দিনগুলো এত যন্ত্রণার তো নাও হতে পারত! রিপোর্টগুলো আসার পর থেকে আজ অবধি বাবা-মায়ের চোখের জল বন্ধ হয়নি। ভীষণ ইচ্ছে করে, দিনগুলো একটু হেসে বাঁচতে। কিন্তু হাসতে যে কেউই দেয় না! বিক্রম তো ভালো করে কথাই বলে না। শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেকটা মানুষই কেমন যেন বিরক্ত। অনন্যার তো অন্তত তেমনটাই মনে হয়। বিরক্ত হবে নাই বা কেন? যে অসুখ বাঁধিয়েছে, সে অসুখের ভারবহন কী মুখের কথা? এর মধ্যেই দেনা হয়ে গেছে কত... ভালোবাসার মানুষের জন্য দেনার দায় নেওয়া আর সেই মানুষটার জন্য দেনার দায় নেওয়া যার সাথে সম্পর্কটা শুধু কর্তব্যের সুতোয় বাঁধা- এক ব্যাপার তো নয়।
যেদিকেই তাকানো যায় হয় অবহেলা, নয় কান্না, নয়তো ব্যস্ততা... এতটাই ব্যস্ততা যে উল্টোদিকের মানুষটার কান্নাটুকুও গোচর করা যায় না। শেষবেলাতেও এত না পাওয়া, এত অতৃপ্তি? সাথে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভালো কিচ্ছু কী নেই? চেনা মানুষের ভীড়েই দমটা আজকাল বেশী করে আটকে আসে। খালি মনে হয়, অচেনায় ডুব দিলেই বুঝি শান্তি। কত কিছু করার ইচ্ছে ছিল। করা তো হল না কিছুই। যে কলমটা দিয়ে কখনও সখনও দু-চার কলম লিখত সেই মনকলমের কালিটাও গেছে শুকিয়ে। রোজকার এই দমবন্ধকরা পরিবেশটা থেকে ইচ্ছে করে পালিয়ে যেতে । কিন্তু পালাবেটা কোথায়? ফেসবুকটা এতদিন স্পিডে স্ক্রল করে বেরিয়ে যেত। আজ ইচ্ছে হল একটু থেমে থেমে চলতে। একটা ছোট্ট কবিতায় চোখ দুটো আটকে গেল...
"ভালো-মন্দের ফারাকটা বুঝতে আমি ভুলেই গেছিলাম-
তুল্যমূল্যের হিসেব ভুলে সাম্যাবস্থাতেই কেটেছে অনেকগুলো দিন।
বুঝেছি, অনুভূতির থেকে অনুভূতিহীনতার জ্বালা অনেক বেশী-
বাঁচতে গেলে হয়তো তাই একইসাথে চাই কান্না আর হাসি।
পক্ষপাতিত্বের বেড়াজাল বড় সর্বনাশা শুনেছিলাম-
নিরপেক্ষতার ঘেরাটোপেই কাটল তাই কতগুলো দিন।
স্নায়ুতে স্নায়ুতে বাঁধল না যুদ্ধ, হল না একটুও রেষারেষি-
মান-অভিমান হারিয়ে গেল, সাথে গেল কত কান্না আর হাসি।
মেনে নেওয়ার ক্লান্তির শেষেই তো এই না মানার স্পর্ধাটুকু দেখিয়েছিলাম-
নেশা এখন নিয়ম ভাঙার, জানি হাতে অল্প ক'টা দিন।
যদিও একটু বাড়াবাড়ি, তবুও তো জানি আজও ভালোবাসি-
ভালোবাসি মান-অভিমান, ভালোবাসি কান্নার পর হাসি।
গোধূলির আলো মেখে এই তো সেদিন আবারও হারিয়েছিলাম-
সর্বাঙ্গে আলো মেখেই না হয় বাঁচব বাকি ক'টা দিন!
তুমি বলবে বাড়াবাড়ি, আমি কিন্তু তবুও বলব ভালোবাসি-
ভালোবাসি মান-অভিমান, ভালোবাসি কান্নার পর হাসি।"
কে লিখেছে এই কবিতাটা? অঙ্কুর মিত্র? এর আগে কোনদিন অচেনা কারোর প্রোফাইলে ঢোকেনি অনন্যা। তবে আজ ভীষণ ইচ্ছ হল অঙ্কুর মিত্রকে একটু ভালো করে দেখে। বাহ্! বেশ তো ছেলেটা! চোখ দুটোতে কী অসীম গভীরতা। গানও গায়? এই তো গানের ভিডিও- 'তোমার পথের প্রান্তে মনের মনে দীপ জ্বেলে রেখেছি, কতবার আমি কত নামে ওগো তোমারেই শুধু ডেকেছি...' মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের গান। কী অসাধারণ গেয়েছে ! ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে বেরিয়ে এল অনন্যা। একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কেমন যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে। রিকোয়েস্ট অ্যাক্সেপ্টেড হতে ভালো লাগাটা আরও বেড়ে গেল। ইন্দ্রিয়গুলো এতদিন কেমন যেন ঘুমিয়ে ছিল! গান তো অনন্যাও খারাপ গাইত না। তবে এখন আর গলা দিয়ে গান বেরোয় না। একটা গান গেয়ে আপলোড করবে ফেসবুকে? যদি অঙ্কুর মিত্রের চোখে পড়ে! মেসেঞ্জারে গিয়ে আলাপ জমানোটা ভালো দেখাবে না। কিন্তু আলাপ জমাতে যে ভীষণ ইচ্ছে করছে। কতদিন কারোর সাথে মন খুলে কথা বলেনি। একটা গান গাইতেও খুব ইচ্ছে করছে। কী গান গাইবে? রবীন্দ্রসঙ্গীত?
"প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন, তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।
চারি দিকে হাসিরাশি, তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।
আন সখী, বীণা আন, প্রাণ খুলে কর গান,
নাচ সবে মিলে ঘিরি ঘিরি ঘিরিয়ে—
তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।
বীণা তবে রেখে দে, গান আর গাস নে—
কেমনে যাবে বেদনা।
কাননে কাটাই রাতি, তুলি ফুল মালা গাঁথি,
জোছনা কেমন ফুটেছে—
তবু প্রাণ কেন কাঁদে রে।"
অডিও করেই পোস্ট করল। ভিডিও করার তো উপায় নেই! কেমোথেরাপির কারণে রূপটা যে একেবারেই গেছে। কারোর সামনে নিজেকে তুলে ধরতে এখন বেশ লজ্জাই করে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অনেক লাইক, কমেন্ট এসে জমা হয়েছে। এই তো...অঙ্কুর মিত্রের কমেন্টও আছে- "বাহ্! বেশ গেয়েছেন তো! খুব পছন্দের গান। ভালো লাগল।"
পাল্টা কমেন্টে ধন্যবাদ লিখতে গিয়ে ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠল। মেসেঞ্জারেও অঙ্কুর মিত্রের মেসেজ- "নাচ সবে মিলে ঘিরি ঘিরি ঘিরিয়ে-জায়গাটায় সুরটা একটু অন্যরকম হবে। ভালো হয় যদি স্বরলিপিটা একটু মিলিয়ে নেন। কমেন্ট বক্সে সমালোচনা করাটা ঠিক পছন্দ নয় আমার। তাই আলাদাভাবে বললাম। আরও গান শোনার অপেক্ষায় রইলাম।" এখন রোজই কোন না কোন গান গেয়ে পোস্ট করে অনন্যা। কোন কোনদিন ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু ভুল করে বসে থাকে... মেসেঞ্জারে অঙ্কুর মিত্রকে ধরার জন্য। টুকটাক কথাবার্তার মধ্যে দিয়েই গড়ে উঠছে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এদিকে সময়ও যে এগিয়ে আসছে। না! মন খারাপ হয় না। বরং এটা ভেবে ভালো লাগে যে ওর সাথে সাথে একটা সুন্দর অনুভূতিও অভিকর্ষহীন হয়ে মহাকর্ষের আওতায় যেতে চলেছে। সময়টা কম বলেই এই অনুভূতিটার পাল্টে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখন তো মনে হয়, এই পৃথিবীতে যা কিছু ভালো তা শেষ বেলাতে পাওয়াই শ্রেয়। ভালোটার তাহলে মন্দতে বদলে যাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
ফেসবুকে অঙ্কুর মিত্রের লাইভ চলছে... ফোনটা বেজে উঠল। কে? তীর্থঙ্কর? ফোনটা ধরে হ্যালো বলতেই একটা আবেগী কণ্ঠস্বর ভেসে এল- "কেমন আছ অনু?"
কাঁপা গলার উত্তর- "খুব ভালো।"
আবার প্রশ্ন- "রাগ করেছো?"
উত্তরে- "না তো! রাগ করব কেন?"
-খুব ব্যস্ত ছিলাম গো। তোমাকে একদম সময় দিতে পারিনি। কিছু একটা বলবে বলেছিলে। এখন বলতে পারবে?
-কি বলব বলেছিলাম, সেটা তো এখন আর মনে করতে পারছি না!
-আচ্ছা। পরে মনে পড়লে বোলো কিন্তু। খুব মিস করছি তোমাকে।
"আমি একটু ব্যস্ত আছি তীর্থ। পরে কথা বলি?"- ফোনটা রেখে চোখের কোণের জলটা মুছে অঙ্কুর মিত্রের লাইভে আবার জয়েন করতেই মনটা ভালো হয়ে গেল...
"যখন নীরবে দূরে, দাঁড়াও এসে
যেখানে পথ বেঁকেছে-
তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহূর্তরা
কে জানে কী আবেশে দিশাহারা!
আমিও ছুটে যাই সে গভীরে,
আমিও ধেয়ে যাই কী নিবিড়ে-
তুমি কী মরীচিকা না ধ্রুবতারা!
তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহূর্তরা
কে জানে কী আবেশে দিশাহারা!
যখন রোদেরই কণা ধানেরই শীষে,
বিছিয়ে দেয় রোদ্দুর-
তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহূর্তরা
কে জানে কী আবেশে দিশাহারা!
আমিও ছুটে যাই সে দিগন্তে
আমিও ধেয়ে যাই কী আনন্দে
তুমি কী ভুলে যাওয়া কবিতারা?
তোমায় ছুঁতে চাওয়ার মুহূর্তরা
কে জানে কী আবেশে দিশাহারা!"
গানটা শেষ হতেই অনন্যার মন অস্ফুটে বলে উঠল- "ধ্রুবতারা..."
অনন্যা বেশ ভালো বুঝতে পারে, বিক্রম এখন শেষটুকুর অপেক্ষায়... বিক্রমকে এই প্রহসনটার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারলে ওরও তো ভালোই লাগবে। বাকীরা না বুঝলেও অনন্যা বেশ বুঝতে পারছে শেষের আর বেশী দেরী নেই। জীবনীশক্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। শেষ ক'টা দিন বাবা-মায়ের কাছে থাকতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। বাবাকে ফোন করতেই বাবা এসে নিয়েও গেলেন। সবাই কত সহজে ওকে যেতে দিল। বিক্রমও বলল না- "আর তো ক'টা দিন। আমার কাছে থেকে যাও।"
বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে দিতেই দিনগুলো কাটছে- "তোমরা এত ভেঙে পড়ছো কেন বলো তো? কেন পাচ্ছো এত কষ্ট? মৃত্যুতেই কী সব শেষ? বেঁচে থাকা মানে কী শুধুমাত্র এই পৃথিবীর অভিকর্ষে থাকা? অভিকর্ষের বাইরে বেঁচে থাকা যায় না? মহাকর্ষে কী বাঁচা যায় না? আমি তো তোমাদের ঘিরেই থাকব। সবসময় তোমাদের ঘিরে থাকব। তোমাদের অনুভূতিতে মিশে থাকব..."
এরপর বিকেলে বসন্তের হাওয়া এসে গায়ে লাগতেই ছাত্রীর মায়ের কথাটা মনে পড়ে গেল- "ও মা, সে কী গো? তুমি বসন্তকে বোঝো না? বসন্তের হাওয়া চেনো না? প্রেম করো। প্রেমে না পড়লে বসন্তকে বোঝা যায় না।" হেসে ফেলল। কত বসন্ত পেরিয়ে এসেছে তারপর! গলা দিয়ে গান আর বেরোতে চাইছে না। তাও গুনগুনিয়ে চলল- 'বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা, বইল প্রাণে দখিন হাওয়া..."
খুব খুব ইচ্ছে হচ্ছে একটা গান গাইতে। গলা দিয়ে যদিও আজ আর আওয়াজ বেরোতে চাইছে না... যে বন্ধু জীবনের শেষ দিনগুলো যত্ন করে আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছে, ভালো লাগায় ভরিয়ে দিয়েছে, তার জন্যই যে আজ জীবনের শেষ গানটা গাইতে ইচ্ছে করছে...
"আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা,
আমি যে পথ চিনি না।
তোমারি উপর করিনু নির্ভর
তোমা বই কারো জানি না ॥
আজ হতে তুমি হৃদয়ের রাজা,
তোমারেই আমি করিব গো পূজা।
সন্দেহের কণা কিছু রাখিব না,
কারো কথা আমি মানি না ॥"
গানটা আপলোড করে অঙ্কুর মিত্রের প্রোফাইলে ঢুকতেই আরেকটা গান বেজে উঠল...
"আজি দখিন-দুয়ার খোলা,
এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো।
দিব হৃদয়দোলায় দোলা,
এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো॥
নব শ্যামল শোভন রথে এসো বকুল-বিছানো পথে,
এসো বাজায়ে ব্যাকুল বেণু মেখে পিয়ালফুলের রেণু,
এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো॥
এসো ঘনপল্লবপুঞ্জে এসো হে, এসো হে, এসো হে।
এসো বনমল্লিকাকুঞ্জে এসো হে, এসো হে, এসো হে।
মৃদু মধুর মদির হেসে এসো পাগল হাওয়ার দেশে,
তোমার উতলা উত্তরীয় তুমি আকাশে উড়ায়ে দিয়ো--
এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত, এসো॥"
এরপরেই কমেন্ট বক্সে জ্বলজ্বল করে উঠল অঙ্কুরের প্রতি অনন্যার এক সমুদ্র ভালোবাসা- "তোমার উতলা উত্তরীয় তুমি আকাশে উড়ায়ে দিয়ো... অন্তহীন শুভকামনা জানিয়ে গেলাম বন্ধু..."
